বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউট রংপুর আঞ্চলিক কার্যালয় প্রাঙ্গনে মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের মাঝে রোপা আমন ধানের চারা বিতরণ করা হয়। ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয় প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান ড. মো. আবু বক্কর সিদ্দিক সরকারের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক মো. জিয়াউল হক। রংপুর অঞ্চলের জন্য নাবীতে রোপণ উপযোগী জাত যেমন- বিআর২২, ব্রি ধান৩৪ ও ব্রিধান৪৬ এর চারা কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক বলেন এ বছর বন্যায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ক্ষতি পুষিয়ে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। এজন্য বর্তমান সরকার সর্বোতভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। তিনি বলেন আগে কৃষকরা এক জমিতে বছরে একবার ফসল ফলাতেন কিন্তু এখন কৃষকেরা আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে একই জমিতে তিন থেকে চারটি ফসল উৎপাদন করছেন। এছাড়া তিনি জৈবিক পদ্ধতিতে ফসল চাষ করার জন্য উপস্থিত কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করেন। ড. মো. আবু বকর সিদ্দিক সরকার বলেন এবারের বন্যায় রংপুর এবং দিনাজপুর অঞ্চলে রোপা আমন ধানের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। যা উত্তরণের জন্য ব্রি ইতিমধ্যে ১১০০ কেজি ব্রি ধান৩৪ এর বীজ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর দিনাজপুর এর মাধ্যমে কৃষকদের মাঝে চারা তৈরির জন্য বিতরণ করেছে। বন্যা পরবর্তী করণীয় বিষয়ে চাষিভাইদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ব্রি রংপুরের কেন্দ্র থেকে প্রদান করা হচ্ছে। ব্রি রংপুর কার্যালয় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য প্রায় ২৫০ কেজি নাবী জাতের বিআর২২, ব্রিধান৩৪, ব্রিধান৪৬ সহ অন্যান্য স্বল্প জীবনকালের জাতের চারা ইতোমধ্যে উৎপাদন করেছে যা আজ রংপুর অঞ্চলের কৃষদের মাঝে বিতরণ করা হয়। নাবীতে চাষযোগ্য এ চারা দিয়ে প্রায় ১০০ বিঘা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ জমিতে ধান রোপণ করা যাবে। আমন ধান ঘরে না আসা পর্যন্ত ব্রি রংপুরের পক্ষ থেকে কৃষকভাইদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে তিনি উল্লেক করেন। অনুষ্ঠান শেষে জেলা প্রশাসক বিনামূল্যে নাবী জাতের ধানের চারা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে বিতরণ করেন। পরে তিনি ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউট প্রাঙ্গনে একটি খাটো জাতের নারিকেলের চারা রোপণ করেন।